মানুষ নিজের বুঝের ওপর অটল থাকতে চায়। সে যা ভালো মনে করে, তা-ই করে। তার এই গোঁড়ামি তাকে সত্য গ্রহণে বাধাগ্রস্ত করে। নবী করিম (সা.) কোনো বিষয়ে গোঁড়ামি তথা বাড়াবাড়ি পছন্দ করতেন না।
তিনি বলেন, অতিরঞ্জনকারীরা ধ্বংস হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস : ২৬৭০)
এমনকি মহানবী (সা.) তাঁর নিজের ব্যাপারেও বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, তোমরা আমাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি কোরো না, যেমন খ্রিস্টানরা ঈসা ইবনে মারিয়ামকে নিয়ে করেছে। আমি আল্লাহর বান্দা মাত্র। সুতরাং তোমরা আমাকে আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুলই বোলো। (বুখারি, হাদিস : ৩৪৪৫)
তিনি আরো বলেন, আমার উম্মতের দুই শ্রেণির লোক আমার সুপারিশ লাভ করতে পারবে না। অত্যাচারী রাষ্ট্রনেতা এবং প্রত্যেক বিপথগামী অতিরঞ্জনকারী। (তাবারানি, সহিহুল জামে, হাদিস : ৩৭৯৮)
আর গোঁড়া ব্যক্তি কখনো পরিপূর্ণ ঈমানের অধিকারী হতে পারে না।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে গোঁড়ামি ঈমান-আমল ও দ্বিনের জন্য ক্ষতিকর। তাই সবার উচিত গোঁড়ামি ছেড়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী আমল করা, যাতে সত্যের ওপর অবিচল থাকা যায়।